Killer & Murderers of Bangla President & Civilians Sheltered in the U.S., the West, & Arab-Muslim Countries

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/611131/%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E2%80%98%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E2%80%99%E2%80%93%E0%A6%8F%E0%A6%B0

Prothom Alo August 24, 2015

সরল গরল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনি ‘অসওয়াল্ড’–এর প্রত্যর্পণ

মিজানুর রহমান খান | আপডেট: ০২:০৬, আগস্ট ২৪, ২০১৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

  

বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ এম রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের ঘটনায় কি মার্কিন নীতিগত পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত আছে? এই প্রশ্নের উত্তরে নিরেট হ্যাঁ বা না বলা কঠিন।
কিন্তু আমরা মনে করতে পারি যে ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্ত অধ্যায়ের পরে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসকে ঘিরে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের চেষ্টা করেছিলেন। ৩ নভেম্বরের সূর্যাস্তের আগে ফারুক-রশীদসহ খোন্দকার মোশতাক মার্কিন হেলিকপ্টারযোগে পালাতে চেয়েছিলেন। কিসিঞ্জার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন দরকার পড়লে তাঁরা আপাতত মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেবেন। মেজর মহিউদ্দিন আহমেদ সস্ত্রীক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন, তিনি পাননি। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বড় নাটকটি ঘটেছিল নভেম্বরে যখন ফারুক-রশীদ ব্যাংককে মার্কিন মিশনে ধরনা দিয়েছিলেন। কিসিঞ্জারের বিবেচনার নীতি আমরা জানতে পারি। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হয়তো তাঁকে সমর্থন দেয়নি। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জেরাল্ড ফোর্ড। নিক্সন টিকে থাকলে কিসিঞ্জার যদি তাঁদের আশ্রয় দিতেন, তাহলে অবাক হতাম না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে ন্যায্য নীতি গ্রহণকারী লোকের আকাল পড়েনি। ব্যাংককে হোয়াইট হাউস, ঢাকায় বোস্টার ও দিল্লিতে স্যাক্সবি—এই তিন মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাঁদের আশ্রয় না দিতে কিসিঞ্জারকে চিঠি লিখেছিলেন। স্যাক্সবি লিখেছিলেন, তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে।
তাই যুক্তরাষ্ট্র যখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে ২০০৭ সালে ফেরত পাঠায়, তখন তা ছিল দৃশ্যত পঁচাত্তরের নীতির ধারাবাহিকতা। এক-এগারোতে কীভাবে এ রকম একটি আওয়ামী লীগবান্ধব সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রশাসনে আপনাআপনি গৃহীত হয়েছিল, তা-ও কম বিস্ময়কর নয়। যদি কেউ হিসাব মেলাতে চান, তাহলে বলতে পারেন যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছিল আওয়ামী লীগ বড় মাপে ক্ষমতায় আসছে, সুতরাং একটি সন্ধি করে রাখা হোক। ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে ঢাকায় আনতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। ক্লিনটন ৩২ নম্বরে না গেলেও কূটনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষায় কোনো ছন্দপতন ঘটেনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে একটা অহি-নকুল সম্পর্ক রাতারাতি কী করে এত দ্রুত ডালপালা বিস্তার করল, তা-ও এক প্রশ্ন। অনেকেই একমত এই বিষয়ে ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি রাষ্ট্রীয় নীতির ওপরে স্থান পেয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এটা স্বস্তির যে এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে একটা স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে, আর তাকে ভালো একটা অগ্রগতি হিসেবেই দেখা হয়ে থাকে।
পঁচাত্তরের খুনিদের রাজনৈতিক আশ্রয় নাকচ প্রশ্নে মার্কিন সরকার পঁচাত্তরের নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে বলে ধারণা ছিল। আকস্মিকভাবে রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদানের ঘটনাটি তাই অবাক হওয়ার মতোই। ঢাকায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টির ২০০৯ সালের তারবার্তা (উইকিলিকস সূত্রে প্রাপ্ত) অবশ্য সাক্ষ্য দিচ্ছে যে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতেই মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের বোর্ড রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন। তবে ওই সময় পর্যন্ত খুনিদের বিষয়ে মার্কিন নীতি ছিল—রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ না করা। নবম সার্কিটের বিচারিক সিদ্ধান্তে মহিউদ্দিনকে ফেরত পাঠানো হলো। আবার আরেক ইমিগ্রেশন বিচারকের রায়ের সূত্রে খুনি রাশেদ সস্ত্রীক আশ্রয় পেলেন।
যদিও এমনটা হতে পারে যে ২০০৭ সালে মহিউদ্দিন যে বিচার–প্রক্রিয়ায় এসেছিলেন, সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে পঁচাত্তরে তাঁর প্রার্থনা নাকচ হওয়ার বিষয়টি বিবেচ্য ছিল না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রশাসনের এটা মনে থাকার কথা। তারা কি এ-সংক্রান্ত তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল? আমরা তা জানি না। রাশেদের বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিস্তারিত আমরা জানি না।
এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রকাশ্য বক্তৃতা-বিবৃতি এড়িয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে নীরব অথচ জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতায় শামিল হওয়া। জিএসপি সুবিধাভোগকারীদের সাম্প্রতিক তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকায় সরকারি প্রতিক্রিয়ায় বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল। অথচ ওই সময়ে বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথাই ছিল না। তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সরকারের বিরাগ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ন্যায্য বিষয়ে ন্যায্য কথা নিশ্চয় বলতে হবে। এবং সেটা কখন কী ভাষায় বলতে হয়, তার উদাহরণ ফিদেল কাস্ত্রো রেখেছেন। মার্কিনদের প্রতি কঠোরতা প্রকাশে বিশ্ব তাঁর মুখে কখনো ‘দুই আনার মন্ত্রী’ ধরনের অমার্জিত মন্তব্য শোনেনি।
সরকারের মিত্র হিসেবে পরিচিতরা হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করছেন। সত্যিকারের প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারিকে পেলে তা হবে বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক অবিস্মরণীয় গৌরবের বিষয়। এ রকম একটি উপলক্ষের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ পেলে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা সন্তোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন। সেই কূটনীতি থেকে নিজেদের অকারণে দূরে সরিয়ে রাখার পরিবেশ তৈরি করা সমীচীন হবে না।
পররাষ্ট্রনীতিতে আবেগের স্থান নেই। সীমান্তের বাইরে স্থায়ী শত্রুমিত্র হয় না, সেখানে জাতীয় স্বার্থ ছাড়া আর কিছু স্থায়ী হতে নেই, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পামারস্টোনের এই উক্তি বিশ্বনেতারা মেনে চলছেন। বাংলাদেশের মতো বিদেশনির্ভর দেশের জন্য আবেগতাড়িত নীতি আরও বেশি অনিরাপদ। প্রতীয়মান হয় যে মহিউদ্দিন ও রাশেদের বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বিচারিক রায় এসেছে। এ রকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউর সুযোগ থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের মানের প্রশ্নটি নবম সার্কিটের বিচারকেরা যাচাই করেছিলেন, আর তাঁদের রায় বাংলাদেশের পক্ষে এসেছিল। মার্কিন কংগ্রেসম্যান ম্যাকডারমট মহিউদ্দিনের প্রত্যাবাসন ঠেকাতে একটি বেসরকারি বিল (এইচআর ২১৮১) এনেছিলেন। কিন্তু তা বিফলে গেছে। সুতরাং আমরা দেখলাম এক-এগারোতে মার্কিন রাজনীতিকেরা আমাদের রায়ের পক্ষেই থাকলেন। উপরন্তু নবম সার্কিট কোর্ট অব আপিলস বললেন, ‘মহিউদ্দিন এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে তাঁর অনুপস্থিতিতে যে বিচার হয়েছে, তা মৌলিকভাবে অন্যায্য। এবং তাঁকে যথাযথ প্রক্রিয়ার আশ্রয় লাভ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ তাহলে এটা খতিয়ে দেখার বিষয় যে রাশেদ তাহলে কী প্রমাণ করেছেন। একই বিচার–প্রক্রিয়াকে বিপরীত প্রমাণ করতে পারার অর্থ দাঁড়াবে, অভিন্ন আইনি প্রশ্নে মার্কিন আদালতের রায় সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে। আসলে আমাদের জানতে হবে কী যুক্তিতে রাশেদ আশ্রয় পেলেন।
ভেতরে ভেতরে যা-ই মনে করা হোক না কেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আগে ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার নীতি সতর্কতার সঙ্গে রক্ষা করে চলেছেন। তখন খুব বিরল ক্ষেত্রেই প্রকাশ্য মার্কিন বৈরিতা দেখানো হয়েছিল। তা না হলে কিসিঞ্জার ঢাকা সফরে আসতেন না, তাঁর বাংলাদেশনীতি বঙ্গবন্ধুর অজানা ছিল না। কিন্তু তিনি এও জানতেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মাপের চেয়ে তাঁর ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি পররাষ্ট্রনীতিকে ছাপিয়ে যেতে পারে না। দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে কিসিঞ্জারের হাত আমরা নাকচ করতে অপারগ, কিন্তু দেখার বিষয় হলো পঁচাত্তরের ৬ আগস্টে বোস্টারের সঙ্গে সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নয়া মার্কিন খাদ্য সাহায্য প্রদানে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু মার্কিন জনগণ, মিডিয়া, কনসার্ট, টেড কেনেডি ও অার্চার ব্লাডের মতো লোকদের ভূমিকাকে আলাদা করেছিলেন। সেটাও এক কৌশল ছিল। মুজিব জোটনিরপেক্ষ নীতি এবং কারও প্রতি বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বকে পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি করেছিলেন, যা কালোত্তীর্ণ হয়েছে। আবেগের কারণে এ থেকে সরে যাওয়া উচিত হবে না।
কূটনীতির প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বিএনপিরও উচিত হবে খুনিদের ফেরত দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানোর। দুই দেশের মধ্যে
বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি সইয়ের প্রক্রিয়াকে তীব্র করতে হবে। বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট খুনিদের ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। বার্নিকাট এ বিষয়ে ঢাকায় তাঁর পূর্বসূরি রাষ্ট্রদূত ডেভিড এন মেরিলকে অনুসরণ করার প্রকাশ্য নীতি বিবেচনা করতে পারেন।
১৯৯৬ সালে মার্কিন পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ছিলেন স্টিফেন আইজেনব্রাউন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রকাশ করেন যে মেরিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড কেনেডিকে ১৯৬৩ সালে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাশেদের মতোই তাঁর আততায়ী হার্ভে লি অসওয়াল্ড মার্কিন সামরিক বাহিনীর লোক ছিলেন। তাঁর বিচার হয়নি। কারণ, গ্রেপ্তারের দুই দিন পরে তিনি এক তথাকথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছিলেন। খুনের আগে হার্ভে স্বপক্ষত্যাগী হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছিলেন।
ডেভিড মেরিল যুক্তি দিয়েছিলেন যে কেনেডির খুনি হার্ভে লি যদি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও তো বাংলাদেশের কাছে সহযোগিতার অনুরোধ জানাত। আমরা মনে করি, সর্বোচ্চ আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদকে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্রদূত মেরিলের সেই যুক্তিকে আরও বেশি তীক্ষ্ণ করে তুলেছে।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷
mrkhanbd@gmail.com

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/614548/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F

Prothom Alo August 27, 2015

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশের সমালোচনায় কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৫:২৬, আগস্ট ২৭, ২০১৫

Minister Matia Chowdhury

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় মতিয়া চৌধুরী এ সমালোচনা করেন। শেখ রাসেল দাবা ক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যাকারী কেউ বাংলাদেশে থাকত, তাহলে তারা কি বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলত?
কানাডাসহ যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আছেন, সেসব দেশের জনগণ ও সরকারের উদ্দেশে প্রায় একই ধরনের প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাতির জনকের হত্যাকারীদের আশ্রয়দাতা দেশগুলো লম্বা লম্বা কথা বলে। তাদের ‘মানবাধিকার’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। খুনিদের বিচার দাবি করেন তিনি।
১৪ আগস্ট প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একজন এ এম রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেক খুনি মোসলেম উদ্দিনও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে পাননি। আর মৃত্যুদণ্ডবিরোধী অবস্থানের কারণে নুর চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে না কানাডা। আত্মস্বীকৃত ছয় খুনির অপর তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও আবদুল মাজেদ কোথায় আছেন, তা সরকার জানে না।

Identity Crisis of Bengali Muslims: Arabisation of Bangladesh

http://www.thedailystar.net/op-ed/arabisation-bangladesh-112009

Daily Star July 14, 2015

12:00 AM, July 14, 2015 / LAST MODIFIED: 12:00 AM, July 14, 2015

STRANGER THAN FICTION

Arabisation of Bangladesh

An Asset, Liability or Threat?

Taj Hashmi

Visitors to Bangladesh, who enter the country for the first time through the Hazrat Shah Jalal International Airport in Dhaka, might get the wrong impression about the major languages spoken in the country. Even before disembarking the aircraft, the first thing they notice is the name of the airport in bold Arabic letters on top of the airport building, along with Bengali and English on two sides. There was no Arabic sign on public buildings and thoroughfares until the late 1970s, when religion was inserted in the Constitution by General Ziaur Rahman. The introduction of Islam as the “State Religion” by General Ershad in 1988 was a big step towards further Islamisation of the polity.

However, these steps towards Arabisation and Islamisation were at best nothing more than symbolic gestures, in a country afflicted with tremendous identity crisis; and at worst politically motivated, opportunistic, and hypocritical. 

Nevertheless, playing with people's religious sentiment for the sake of legitimacy by the rulers, and their appeasing the Islamist parties and individuals with Islamic symbols like Arabic signs, and Islam as “State Religion” have already backfired. Unabated cultural Arabisation and Islamisation in the long run could drag the country towards religious extremism.

Arabisation is a generic term. I define it as a process of adopting elements of Arabian culture by non-Arab Muslims and non-Muslims, in historical and contemporary perspectives. One may mention all areas of acquired habits by human beings, including religion, language, politics, law, social customs, food habit, art, attire, and music in this regard. This happened after the phenomenal rise of Islamic empires. Awe-stricken Europeans learnt Arabic and indigenised Arabic/Islamic culture – art, architecture, philosophy, music, medicine and science –in the 9th and 13th centuries during the heydays of Arab/Islamic empires. Historians are unanimous about Arabic/Islamic contributions to European Renaissance.

We need to understand the Arabisation of Bangladesh in historical as well as in the contemporary socio-political, psychological and geo-political perspectives. Overwhelming majorities of people in the Middle East, North Africa and Central Asia adopted Islam and Arabised their language and culture soon after the expansion of Islam by sword, trade and other means; what is Bangladesh today is no exception in this regard. However, as Islam came here through Persianised Turco-Afghan-Iranian conquerors and Sufis, Bangali Muslims' religious beliefs, vocabulary and rituals – very similar to elsewhere in the subcontinent – have been predominantly Turco-Afghan-Iranian rather than Arabian.

However, Bangali Muslims retained their language, script and many other aspects of the indigenous Bengali culture in the wake of mass conversion. Some of them are still unwilling to give up certain indigenous/Turco-Persian rituals and beliefs – such as showing reverence to dead Sufis/Pirs, and believing in certain cults, including the Satya Pir, the Bangali Muslim version of the Hindu Satya Narayan. In sum, a syncretistic Islam evolved in Bengal, which ultra-orthodox Wahhabi-Faraizi-Deobandi-Salafi Muslims have been trying to supplant with orthodoxy, at least for the last 200 years. Their success is partial.

Thanks to the Persian influence, Bangali Muslims (very similar to Indian and Pakistani ones) often use the Farsi khuda and paighambar to denote Arabic Allah and rasul (messenger or prophet), respectively. Despite the ongoing Arabisation process, Farsi not Arabic is still widely used as the “Islamic language” in Bangladesh. Thus Farsi namaz for prayer (not Arabic salat); roza for fasting (not Arabic  saum); Ramzan  for the fasting month (not Arabic Ramadan); and jaynamaz for prayer mat (not Arabic musalla) are integral parts of Bangali Muslim vocabulary.

However, due to the patronage of ultra-conservative Arab Muslims and their local adherents in Bangladesh, sections of Bangladeshi Muslims are fast indigenising ultra-orthodox Wahhabi-Salafi ideologies, practices and vocabulary. Meanwhile, many Bangladeshi Muslim women have adopted the previously unknown, the Middle Eastern hijab, which is a variant of the Lebanese Catholic nuns' habit. Muslim men and women in the country are fast adopting some weird and hitherto unfamiliar Arabic expressions and Arabian practices in the name of purifying their faith.

Now many Bangladeshi Muslim children have unique (often difficult to pronounce and remember) Arabic names. Many Bangali Muslims have discarded certain old rituals during milad in commemoration of the birth of the Prophet. They have introduced new ones from the Arab World. Bangladeshi Muslims at home and abroad organise halaqa, religious gatherings for learning about Islamic theology from one or more speakers, followed by intense question-answer sessions, prayers, supplications and food; mostly in segregations, Muslim brothers and sisters sitting in separate chambers.

Of late, the hitherto unheard of Arabic expression, “Allah Hafiz” (introduced by General Zia ul-Haq in Pakistan) to bid good-bye to someone, is gradually replacing the Farsi “Khuda Hafiz” (May God protect you) in Bangladesh. 

Appraising the Arabisation process in Bangladesh is difficult. The phenomenon is as strange as the stories of The Arabian Nights. One is not always alert enough to notice the changes that have already crept into the psyche of the nation – and the ongoing undercurrents of the process – in the realms of Islamic religion, rituals, and popular culture in the country since the 1970s. Sometimes the government, but mostly adherents of “Islam-loving” political parties, cultural organisations and Islamic scholars flaunt, push and glorify Arabian culture in the name of one religion. Bangladeshi Muslim workers in the Gulf countries – labourers to professionals – have also been Arabising the popular culture in the country. Due to inadequate knowledge of Islam, neither these workers nor their relatives, neighbours and friends differentiate between Islam and Arabisation.

As Badruddin Umar has brilliantly explained in his writings, many disempowered Bangali Muslims during the British period nurtured a romantic extra-territorial loyalty towards Afghan-Arab-Iranian-Turkish lands, their language, rituals, and attire and food habit, and identified themselves as descendants of “original Muslims” from outside India. Tracing one's origin to the Middle East and Central Asia or to some aristocratic families is still fashionable in Bangladesh. It indicates Bangladeshi Muslims' identity crisis and inferiority complex. Many of them still fail to identify which one is their primary identity, Muslim or Bangali.

The quest for Arabisation has some similarities with a section of the Hindu population's quest for upward mobility through the Sanskritisation process, by indigenising Brahmin culture, food habit, attire and gods in South Asian history. Although Arabisation has elements of non-Arab Muslims' quest for upward mobility, it is also an elite plan of action to politically hegemonise mass consciousness.

In sum, since the late 1970s, Muslims of Bangladesh have failed to distinguish between what is Islamic and what is Arab. Arabisation of the popular culture has become synonymous with the Islamisation process in Bangladesh. This synonymy is ominous. It has long-drawn implications for the country. Moderate Muslims, liberal/secular Bangladeshis, and the friends of Bangladesh need to understand the long-term consequences of this slow and steady transformation of the popular culture of Bangali Muslims. Cultural transformation of people is a major step towards their political orientation and makeover. 

The writer teaches security studies at Austin Peay State University. Sage has recently published his latest book, Global Jihad and America: The Hundred-Year War Beyond Iraq and Afghanistan.

http://www.dnaindia.com/world/report-top-jamaat-leader-s-death-sentence-upheld-by-bangladesh-supreme-court-2096019

Top Jamaat leader's death sentence upheld by Bangladesh Supreme Court

Tuesday, 16 June 2015 - 1:09pm IST | Place: Dhaka | Agency: PTI

 

Bangladesh's Supreme Court on Tuesday upheld the death sentence against the second highest ranking leader of the fundamentalist Jamaat-e-Islami for war crimes, including massacre of intelligentsia during the liberation war against Pakistan, paving the way for his execution.

Chief Justice Surendra Kumar Sinha's four-member bench confirmed the death penalty for 67-year-old Ali Ahsan Muhammad Mujahid, Jamaat-e-Islami secretary general and a former commander of Al-Badr, the militia raised by Pakistan to crush the Bangladesh's struggle for independence. "(The death penalty is) maintained," pronounced Chief Justice Sinha nearly three weeks after the bench wrapped up the hearing on the appeal against the death penalty verdict handed down by the Bangladesh's International Crimes Tribunal.

Mujahid had led the infamous Gestapo-like 'Al-Badr' militia, an elite auxiliary force of Pakistani troops, to crush the independence struggle. He was found guilty in five of the seven charges pressed against him.

In one of the major charges, Mujahid was convicted for engaging the Al Badr in massacring dozens of top Bangladeshi intelligentsia, including scientists, academics and journalists, just two days ahead of the Pakistani surrender on December 16, 1971. "The court found that the intellectuals were massacred by Al Badr under Mujahid's leadership while the Pakistani troops were busy with their preparedness for surrender," attorney general Mahbub-e-Alam told reporters after the verdict. 

Mujajid filed his appeal on August 11 last year against his capital punishment handed down by the country's International Crimes Tribunal-2 on July 17, 2013.

He was a minister in the Bangladesh Nationalist Party-led four-party alliance government (2001-2006) with Jamaat being its crucial partner. Under a previous Supreme Court decision, he can now file a petition within next 15 days seeking a review of the judgement by the apex court itself as his last legal resort to evade the gallows.

Mujahid's lawyers said they planned to file the petition. Demands for the trial of the war criminals resurfaced in 2008 largely after he commented that the "anti-liberation forces never existed" and denied Jamaat's role in 1971. The Jamaat-e-Islami called the liberation war a "civil war" which further infuriated the people as demands for trial grew louder. 

 

End of a Secular Bangladesh: Lipika Pelham

http://www.nytimes.com/2015/03/06/opinion/end-of-a-secular-bangladesh.html?ref=world&_r=0

 

New York Times

March 6, 2015

 

OP-ED

 

End of a Secular Bangladesh?

By LIPIKA PELHAM

 

Covered in blood, she stands over the body of her husband lying on a sidewalk on the Dhaka University campus. Onlookers, their faces stunned and fearful, circle the protagonists in what looks like a macabre scene from a Bengali jatra, or village opera.

 Except this is not a play. The dead man is Avijit Roy, the Bangladeshi-American blogger known for his staunch atheism, and he has just been butchered with machetes. Islamist extremists are suspected in the attack.

 This picture was relayed around the world after Mr. Roy and his wife, who were living in the Atlanta suburbs, were brutally attacked during a visit to Bangladesh as they were returning by cycle rickshaw from a book fair.

The spot where the attack took place is close to the university’s teacher-student center, where young people typically crowd around the tea stalls debating politics, philosophy and current affairs.

Some 25 years ago, I sat on those rickety wooden stools and discussed the same issues Mr. Roy wrote about in his blog, Mukto-mona (Free Mind) and his recent book, “The Virus of Faith.” We students openly proclaimed our atheism. We probably provoked some strong reactions, but we did not fear for our lives. We were proud of the Bengali tradition of secularism, unique to the Indian Subcontinent.

Bangladesh has changed. The expansion of the garment industry and the rise of microfinance and community development banks put an end to the stereotype of Bangladesh as a “basket case.” But economic empowerment also brought mass access to information. Today the disenfranchised and disgruntled can identify themselves with extremists anywhere in the world. What is their common identity? Religion.

When India was divided in 1947, East Bengal became part of Muslim Pakistan purely on the basis of its religious majority. A year later, Urdu was imposed as the national language. The Bengali language has always been linked with secular Bengali nationalism. Protests followed, and on Feb. 21, 1952, the Pakistani police opened fire on students at Dhaka University. That day — perhaps the beginning of the conflicts that culminated in the 1971 war of independence — is remembered every year in Bangladesh and in the Indian state of West Bengal, and the monthlong book fair is one of the commemorative events. When I tried to visit the fair just a few days before Mr. Roy was killed, I couldn’t make it through the crowds at the entrance to the university campus.

I had gone back to Bangladesh with two of my children so they could experience the sounds and colors that I grew up with. The first sign that things had changed was at Heathrow, when an attendant at the Bangladeshi airline desk said that we would not be allowed to enter the country because of the Israeli stamps on our British passports. I explained that I had visited with the same passport before, and we entered Dhaka without any hiccups. My confidence in Bengali liberal-mindedness thus restored, the children and I got in a motorized rickshaw, headed for the port of Sadarghat.

On the way, my 13-year-old daughter observed, “I thought it would be much more colorful. Are there no women in Dhaka?” Looking around, I realized that most women were covered in black burqas or hijabs — a style that I had seen in such large numbers only in the Middle East. Many of their male companions wore long white dishdashas and skullcaps.

I remembered that stretch as being one of the most colorful streets, with shop fronts spilling over with spices and trinkets, men and women loudly bargaining to get the best deal. Even in Dhaka’s swanky areas, I was dismayed to find stores filled with hijabs and full-face coverings, with signs on the front windows reading “For True Muslim Women.”

Were the Muslim women of my childhood, who simply flung the ends of their saris over their heads, not “true” enough?

My father was Muslim, but before I became an atheist, I had embraced my ancestral Hinduism, visiting temples and lighting lamps for the festival of lights, Deepavali. I never feared being treated as an apostate. Now I do. Now if a passport control officer in Dhaka asked me what religion I belonged to, I would think twice before saying I was a former Hindu. Or worse: an atheist.

Thinking of Mr. Roy’s book, “The Virus of Faith,” I asked my Bengali friends: How did this virus find such a welcome platform? How did it spread so far that secularism has become a restricted word?

“Unfortunately, over the past decade or so, all the attacks on secular thinkers — who include people from all religious backgrounds — were committed by self-styled defenders of Islam,” Jibanananda Jayanta, a Dhaka-based social activist, told me.

This prompted many secularists from Muslim backgrounds to distance themselves from Islam. They were in turn accused of blasphemy. The poet and author Taslima Nasrin went into exile in 1994 to flee death threats from Islamist radicals. But what were then threats or fatwas became in more recent years coldblooded killings on crowded streets.

Some friends described the murder of Mr. Roy as “copycat violence,” imitating similar attacks by fanatics elsewhere — part of the globalization of Islamism. In 2004, another writer, Humayun Azad, was severely injured during an attack that also occurred at the annual book fair. And in 2013, Ahmed Rajib Haider, an atheist blogger, was killed by machete-wielding Islamic radicals.

In both of those cases, the attackers demanded that the government pass a law against blasphemy, similar to the one that exists in Pakistan. Although the current government has strongly opposed such a law, it has nonetheless catered to Islamic political parties by harassing and arresting many secular bloggers. It has also used the existing law against hurting “religious sentiment” to punish dissenters.

After Avijit Roy’s murder, mourners placed a banner at the temporary memorial near the site of the attack. Its words could not be more true: “If Avijit is beaten, so is Bangladesh.”

Lipika Pelham is the author of the memoir “The Unlikely Settler.”

Bangladesh War Crimes List 1971

http://icsforum.org/articles-en/2014/07/17/naming-the-names-introducing-the-war-criminals-by-ahmed-ziauddin/

Naming The Names: Introducing The Pakistani War Criminals

• Thursday, 17 July 2014 16:13
 

• Ahmed Ziauddin

[ICSF's Note: This piece by Dr Ahmed Ziauddin, a Member of International Crimes Strategy Forum (ICSF), was first published on 23 November 1999 at NFB, and now republished by ICSF after almost 15 years. The list of Pakistani war criminals mentioned in the article still merit consideration. It is our pleasure to bring this article into recirculation for readers interested in the issue of justice for 1971 genocide in Bangladesh. Most information presented here are still largely valid and useful. At the time of writing this piece the writer was teaching law at Brussels Catholic University side by side heading the Brussels based Bangladesh Centre For Genocide Studies]

When on 17th April 1973 the Government, for the first time, announced its decision to try 195 Pakistani Prisoners of War for serious crimes, it became clear that it has abandoned its earlier absurd policy to try all Pakistani soldiers and their collaborators. Rhetorical political statement was replaced by pragmatic policy.

The Government, it was revealed, screened these individuals following a special investigation commissioned to identify the major war criminals. This report was never made public, nor the names of the 195 principal planners and executioners of Bangladesh genocide.

In a number of articles on Bangladesh genocide, and in seminars, I have urged publication of that report, which, at least, would reveal the names of the alleged criminals for others to pursue. Although we had fairly good idea about the people involved, but it was rather difficult, until now, to be absolutely certain about the existence of the report.

Recently, sources at Liberation War Museum, an organisation in Bangladesh that devotes itself exclusively on Bangladesh genocide and liberation war, has supplied some documents, which appears to be the long lost report, or at least its part, on the principal war criminals.

This article intends to virtually reproduce the materials, but before its done, a brief background to refresh our memories.

Pakistani soldiers lost on 16th day of December 1971 its Eastern part, despite their freehand in prosecuting genocidal war against largely unarmed Bangalee population, hundreds and thousands of its best fighters too surrendered to the Allied Command. Lt.Gen.Amir Abdullah Khan Niazi led his soldiers to put down the arms which were henceforth freely used to keep Pakistan’s integrity. Bangladesh was born and Pakistan disintegrated.

The Government of Bangladesh that led the war of liberation from exile returned to its capital following Pakistan’s defeat. The new government hold its first cabinet meeting in liberated Dacca on 23rd December 1971 and was reported that 89.000 regulars of the Pakistan Army have surrendered in Bangladesh and five thousand of them had already been removed to India.

The Home Minister Mr. A.H.M.Kamruzzaman declared on 24th December 1971 that the collaborators would not escape from justice, and a large number of collaborators, including former Governor, Dr. A.M.Malik, and Members of his Cabinet, were officially reported to have been taken in custody.

On 31st December 1971, the cabinet decided to set up an Enquiry Committee to probe into the dimension and extent of genocide committed by the Pakistani army in Bangladesh. The Prime Minister asked the MCAs and Awami League workers to submit data regarding genocide. A Presidential Order providing for the setting up of special tribunals to try collaborators of the Pakistan armed forces was issued. The Prime Minister Sheikh Mujibur Rahman declared on 29th January 1972 that his government would not forgive those who were guilty of genocide in Bangladesh. Accordingly, in accordance with the Geneva Convention, the Government decided to set up two tribunals- one for the trial of persons accused of genocide and another for the trial of war criminals.

After the withdrawal in March 1972 of the Indian Army from Bangladesh, the Indian Prime Minister arrived in Dacca. In the public meeting on 17th March at Suhrawardy Uddyan attended by Mrs.Indira Gandhi, Sheikh Mujibur Rahman declared that the Pakistani Prisoners of War would be handed over to Bangladesh for trial.
The Government then appointed Mr.S.R.Pal and Mr.Serajul Haque (MCA) as the Chief Government Prosecutors of the War Crimes Tribunals to try the Pakistani Prisoners of War accused of genocide. Indira Gandhi then on 12th July told in New Delhi that she considered war crimes trial issue to be bilateral matter between Bangladesh and Pakistan. On the eve of the first Victory Day anniversary on 16th December 1972, the Prime Minister reiterated that the trial of war criminals in Bangladesh would be held. Regardless of Government’s repeated pronouncement, the government soon realised impossibility of putting surrendered thousands of Pakistani Army personnels to trial, and on 17th April 1973 announced its decision to try 195 Pakistani Prisoners of War for serious crimes.

Introducing the war criminals:
Following is the list of the war criminals with accusations and charges.
Name: Lt.Gen.Niazi No: PA 477
Post held: Corps Commander, Martial Law Administrator Zone B
Allegations:
The accused is alleged to have arrived incognito at least by the 1st of March in Dacca. Thereafter, he participated in a series of high level conferences where the military operations connected with genocide were planned and finalised. His participation was under cover. After he took over as Martial Law Administrator (of Zone B), the accused made a large number of public statements and issued a large number or orders in respect of the plan of genocide and the military operations connected therewith. He also took upon himself the whole responsibility for all criminal acts by men under his command and indeed for all acts of his troops during the military occupation of Bangladesh. Evidences are available about mass rape and the criminal violation of women by the men under his command. It is alleged that he was personally present on the scene of the systematic murder of Bangalee intellectuals on or about 12th to 16th December 1971. He is also alleged to have visited the site for the plan of murder of intellectuals in Brahmanbaria prior to the commission of the acts. He is also alleged to have illegally detained at least 50 women and girls in Dacca “for his personal pleasure”.
Proposed charges:
Conspiracy to wage aggressive war, conspiracy to commit genocide, conspiracy to commit crime against humanity, complicity in the commission of genocide and war crimes and crimes against humanity. Failure to maintain discipline, false arrests, rape, assult and battery and murder and criminal violation of international agreements.

Name: Major General Rao Farman Ali Khan No: PA 1364
Post Held: Deputy Martial Law Administrator Zone B (as Brigadier in March 1969 to July 1970); from July 1970 Major General Civil Affairs)
Functions:
To use the civil administration for the purpose of Martial Law, screening of civil servants before posting in districts, political
appreciation through daily or weekly meetings either with civil officers or intelligence officers and feeding information to military junta in Islamabad.

Allegations:
Participation in all secret meetings held by General Yahya Khan from 15th March onwards in Dacca Cantonment. Participation in all military exercises in Bangladesh. His recommendations and formulation of the master plan to eliminate all Bengalee intellectuals and Awami Leaguers and selection of time and date or army crackdown in Bangladesh in executing the master plan.

Proposed charges:
Conspiracy to wage a war of aggression, conspiracy to commit genocide and crime against humanity, complicity in the commission of genocide, war crimes and crimes against humanity. Execution of plan of genocide
and crimes against humanity.

Name: Major General Mohammad Hussain Ansari
No. PA 4404
Post held: Station Commander, Dacca (prior to 25th March 1971). Station Commander, Chittagong, G.O.C. 9th Division, Sub-Martial Law Administrator, Sector III.
Allegations:
Evidence indicates that the accused was associated with and participated in planning of the military operations that were launched from 25th March 1971. He appears to have attended a number of high level staff and operational planning sessions in which the details of the plan of genocide were finalised. In Chittagong, he was associated with and directed the operations designed to eliminate the Bengalee military personnel serving in Chittagong Garrison. When he assumed
Command as GOC, 9th Division and Sub-Martial Law Administrator, Section III, he became responsible for a large area comprising Jessore, Jinadah, Barisal, Khulna, Khulna Port, Satkhira, Magura, Kushtia, Faridpur, Chaudanga, Gopalgang, Madaripur, Patuakhali, Bhola and Bagerhat. There is wide evidence of widespread mass atrocities including murder, torture, rape and arson in the area under his control or members of the formation under his command as from July 1971 till
surrender.
Proposed charges:
Conspiracy to commit genocide and crimes against humanity. Execution and direction of operations in pursuance of the conspiracy to commit genocide, mass murder, torture, rape, arson, false arrest and detention etc.

Name: Colonel M.Yakub Malik
No: PA 3837
Unit: 53 Field Artillery Regiment (53 Brigade 14 Division)
Post held: C.O.
Allegations:
His unit was stationed at Comilla even prior to 25th March 1971 and remained in Bangladesh till surrender. On and between the 25th and 29th March 1971, 300 Bangalee military officers and other ranks were disarmed and detained in Comilla at Brigade Headquarters. In addition, 1600 civilians were also arrested. On the 30th March 1971, batches of 15 and 20 persons from among those detained were taken out and killed in the precincts of Brigade Headquarters. In the same night with the help of petromax light, these bodies of persons killed were buried in mass graves in the cantonment limits. The accused was at all material times in Comilla and on the date of the killings was actually present through the day at Brigade Headquarters where the killings occurred.
Proposed charges:
Execution of planned genocide, mass murder, torture, criminal violation of international agreements, false arrest and detention etc.
Name: Lt.Col. A. Shams-ul-Zaman (also known as Col.Shams)
No: PA 4745
Unit: 22 FFR and Infantry Battalion (107 Brigade, 14 Division)
Post: Assistant Sub-Martial Law Administrator (Khulna) till June 1971;
Sub-Martial Maw Administrator (Jessore) July 1971.
Allegations:
The accused was stationed at Jessore even prior to 25th March 1971. Later, he moved to Khulna and appears to have returned to Jessore. He was at all material times in Bangladesh. There is evidence of widespread atrocities in area Jessore-Khulna. For example, on 4th April 1971, military personnel of Pakistani army, in company strength, went to Chachara Mahalla of Jessore town and opened indiscriminate fire killing 200 persons. From March to May 1971, nearly 2000 persons in
batches were brought to Khulna Circuit House, tortured and killed at Forest Ghat which is 200 yards from the Circuit House. During this period, the accused was living in Circuit House and personally inspected the torture chambers.
Proposed charges:
Execution of planned genocide, mass murder, torture, criminal violation of international agreements, false arrest and detention, etc.

Name: Major Mohammad Abdullah Khan
No: PTC 5911
Post held: Deputy Sub-Martial Law Administrator, Sub-Sector 12, Brahamanbaria.
Allegations:
On 21st November 1971, the accused is alleged to have taken some 50 persons from Brahmanbaria sub-jail and killed them at a place near Pairtala Bridge where subsequently 42 bodies were disinterred. Eyewitness accounts are available. This area was visited by Lt.General Niazi and Major General Majid Khan prior to the murder of intellectuals in Brahmanbaria. Evidence discloses a design to commit genocide in that area.
Proposed charges:
Execution of plan of genocide, murder, false arrest, etc.
Name: Major Khurshid Omar
No: PA 4553
Unit: 614 Field Intelligence Unit, Jessore Cantonment.
Allegations:
The accused was in-charge of field intelligence unit at Jessore Cantonment at least from March 1971 till the surrender. He appears to have had responsibility for the collection of political intelligence and submission of intelligence reports of the political situation in that area. He was also in-charge in this connection with the interrogation and screening of Bangalee military and civilian personnel with a view to executing the plan of genocide; At least 900 persons were brought before him interrogated and in many cases tortured under his order and or supervision. The accused appears to have specialised
in devising ingenious instruments of torture.
Proposed charges:
Execution of the plan of genocide, murder, torture, false arrest and
detention and criminal violation of international law and agreements.
Name: Captain Abdul Wahid
No: PSS 8464
Unit: 30 FF
Allegations:
The accused was posted in Dacca city at about the time of military crack down which commenced on the 25th March 1971. Evidence exists of his participation in the acts of murder, loot and arson that were perpetrated on that day in Dacca.
Proposed charges:
Murder, loot, arson, failure to maintain discipline.

List Of 200 Pakistani War Criminals:

Nos P.O.W. No. PA No. Rank Name Unit
1 1 PA 477 Lt.Gen. Amir Abdullah Khan Niazi East Comd.
2 2 PA 1170 Maj.Gen Nazar Hussain Shah 16 DIV
3 3 PA 4404 Maj.Gen. Mohhammad Hussain Ansari 9 DIV
4 4 PA 882 Maj.Gen. Mohammad Jamshed DG EPCAF
5 5 PA 1734 Maj.Gen. Qazi Abdul Majid Khan 14 DIV
6 6 PA 1364 Maj.Gen. Rao Farman Ali Civil Affairs & Advisor to Governor E.P.
7 7 PA 1674 Brig. Abdul Qadir Khan 93 BDE
8 8 PA 2235 Brig. Arif Raja HQ SIG
9 9 PA 1109 Brig. Atta Muhammad Khan Malik 7 BDE
10 11 PA 1897 Brig. Bashir Ahmed CAF
11 12 PA 100088 Brig. Fahim Ahmed Khan HQ EC
12 13 PA 1738 Brig. Iftikhar Ahmed Rana 313 BDE
13 16 PA 3414 Brig Manzoor Ahmed 57 HQ BDE
14 17 PA 3547 Brig. Manzoor Hussain Atif 177 BDE
15 18 PA 2111 Brig. Mian Mansoor Muhammad 39 DIV
16 19 PA 1148 Brig. Mian Taskin uddin 91 BDE
17 20 PA 2729 Brig. Mir Abdul Nayeem 34 HQ BDE
18 22 PA 1999 Brig. Mohammad Aslam 53 BDE
19 23 PA 2103 Brig. Mohammad Hayat 107/407 BDE
20 24 PA 1044 Brig. Mohammad Shafi 23 HQ BDE
21 25 PA 1702 Brig N.A.Ashraf CMD Natore GRN
22 26 PA 3430 Brig. S.A.Ansari Rangpur GRN
23 27 PA 3548 Brig. Saad Ullah Khan S.J. 27 BDE
24 28 PA 1880 Brig. Syed Asghar Hasan Sylhet Force
25 29 PA 2110 Brig. Syed Shah Abul Qasim C.C.ATY ECO
26 30 PA 2130 Brig. Tajmmal Hussain Malik 205 HQ BDE
27 35 PA 1817 Col. Fazle Hamid 314 HQ BDE
28 37 PA 3799 Col. K.K.Afridi 9 DIV
29 44 PA 1963 Col. Mohammad Khan ISI
30 45 PA 100115 Col. Mohammad Musharaf Ali 14 ADMS DIV
31 58 PA 2200 Lt.Col. Abdul Ghaffor HQ SIGEA
32 67 PA 4489 Lt.Col. Aftab H.Quereshi 33 Baluch
33 57 PA 3568 Lt.Col. Abdul Rehman Awan CAF
34 60 PA 3347 Lt.Col. Abdul Hamid Khan ML HQ
35 65 PA 4087 Lt.Col. Abdullah Khan EPCAF
36 68 PTC 4318 Lt.Col. Ahmed Mukhtar Khan 30 FF
37 72 PA 4062 Lt.Col. Amir Mohammad Khan 7 SEC ML
38 74 PTC 4329 Lt.Col. Amir Nawaz Khan 13 FF
39 73 PA 5027 Lt.Col. Amir Mohammad Khan 34 Punjab
40 55 PA 4745 Lt.Col. A.Shams ul Zaman 22 FF
41 78 PA 4608 Lt.Col. Ashiq Hussain 24 FF
42 81 PA 3248 Lt.Col. Aziz Khan 32 Baluch
43 202 PTC 3239 Lt.Col. Ghulam Yasin Siddiqi ST HQ Dacca AA & QMG
44 97 PTC 3711 Lt.Col. Isharat Ali Alvi 14 HQ Inf.Div.
45 167 PA 4441 Lt.Col. Mukhtar Alam Hijazi EPCAF
46 170 PA 3600 Lt.Col. Mustafa Anwar 15 Baluch
47 116 PA 4100 Lt.Col. M.R.K.Mirza 33 Punjab
48 128 PA 4301 Lt.Col. Matloob Hussain 18 Punjab
49 140 PA 2700 Lt.Col. Mohammad Akram Tochi Scout
50 152 PSS 2590 Lt.Col. Mohammad Akbar EPCAF
51 147 PTC 3645 Lt.Col. Mohammad Nawaz 15 Baluch
52 169 PA 4766 Lt.Col. Mumtaz Malik HQ East Comd.
53 138 PA 4416 Lt.Col. M.M.M.Baiz 8 Baluch
54 48 PA 100207 Col. Mohammad Matin 72 ADMS MED BN
55 129 PA 2917 Lt.Col. Mazhar Hussain Chauhan ISSC
56 168 PA 3610 Lt.Col. Mukthar Ahmed Sayed HQ MLA Cav
57 171 PSS 2899 Lt.Col. Mustafajan HQ MLA Zone
58 175 PA 2821 Lt.Col. Oman Ali Khan SURVEY Sec
59 180 PA 5074 Lt.Col. Reaz Hussain Javed 31 Punjab
60 178 PA 4550 Lt.Col. Rashid Ahmed HQ EPCAF
61 196 PA 4817 Lt.Col. Seikh Mohammad Naeem 39 Baluch
62 192 PA 3932 Lt.Col. Sarfaz Khan Malik 31 Punjab
63 181 PA 4920 Lt.Col. S.F.H.Rizvi 32 Punjab
64 182 PA 4560 Lt.Col. S.H.Bokhari 29 CAV
65 205 PA 4368 Lt.Col. Syed Hamid Safi DEF Purchase
66 201 PA 3817 Lt.Col. Sultan Badshah 8 EPCAF
67 200 PA 5178 Lt.Col. Sultan Ahmed 31 Baluch
68 199 PA 4518 Lt.Col. S.R.H.S.Jaffari HQ SID EA
69 216 PSS 3743 Lt.Col. Zaid Agha Khan HQ EF LOG
70 122 PA 3837 Lt.Col. M.Y.Malik 14 HQ DIV
71 231 PA 7059 Major Abdul Ghafran East Comd.
72 284 PA 5640 Major Anis Ahmed 205 HQ INF BDE
73 290 PA 7214 Major Arif Javed 22 CAV
74 304 PA 6736 Major Atta Mohammad 29 Baluch
75 233 PSS 8394 Major Abdul Hamid 31 Punjab
76 301 PA 7299 Major A.S.P.Quereshi 25 Punjab
77 294 PA 7530 Major Ashfaq Ahmed Cheema 39 Baluch
78 241 PSS 8547 Major Abdul Khaleq Kayani 6 Punjab
79 256 PTC 4664 Major Abdul Waheed Mughal 22 Baluch
80 235 PA 3838 Major Abdul Hamid Khattak ML HQ
81 262 PA 7251 Major Ahmed Hassan Khan EPCAF
82 283 PRR 4438 Major Anees Ahmed Khan 15 Baluch
83 255 PA 4990 Major Abdul Waheed Khan 31 Baluch
84 320 PA 5868 Major Ch.Mohammad Jahangir HQ MLA ZB
85 348 PA 4122 Major Ghulam Mohammad 2 Baluch
86 358 PTC 4390 Major Gulam Ahmed EPCAF
87 344 PA 7439 Major Ghazanfar Ali Nasir EPCAF
88 363 PA 6959 Major Hadi Hussain 24 FF
89 367 PA 6646 Major Hasan Mujtaba 8 Baluch
90 376 PTC 5733 Major Iftikhar Uddin Ahmed 33 Baluch
91 374 PA 6729 Major Iftikhar Ahmed 8 Punjab
92 712 PA 5250 Major Shah Muhamad Osman Faruqi 7 Sig. BN
93 419 PA 4553 Major Khursheed Oman 814 FIU
94 423 PTC 3947 Major Khurshid Ali Survey Sec.
95 414 PA 7576 Major Khizar Hayat 4 FF
96 485 PA 7657 Major Mehr Mohammad Khan 31 Baluch
97 431 PTC 5911 Major M.Abdullah Khan 27 Bde
98 533 PA 7253 Major Mohammad Afzal 8 Baluch
99 411 PA 7405 Major M.Ishaq EPCAF
100 553 PTC 3246 Major Mohammad Hafiz Raja 34 Punjab
101 595 PA 6870 Major Mohammad Younas 32 Punjab
102 504 PA 6793 Major Mohammad Amin 107 HQ BDE
103 481 PS 3935 or 2935 Major Mohammad Lodhi Natore Grn
104 493 PA 6554 Major Mirza Anwar Beg 88 ORD COY
105 428 PTC 4157 Major M.A.K.Lodhi 16 HQ Div
106 459 PSS 4245 Major Madad Hussain Shah 18 Punjab
107 544 PTC 3007 Major Mohammad Ayub Khan 97 BDE
108 586 PSS 6110 Major Mohammad Sharif Arian 33 Punjab
109 555 PA 5964 Major Mohammad Iftikhar Khan 202 HQ BDE
110 455 PA 2818 Major M.Yahya Hamid Khan 6 Punjab
111 592 PSS 6150 Major Mohammad Yamin ASC
112 527 PA 5141 Major Mohammad Ghazanfar ISSC
113 583 PA 7231 Major Mohammad Sarwar 33 Punjab
114 579 PTC 3016 Major Mohammad Siddique 205 HQ INF BDE
115 543 PSS 6092 Major Mohammad Ashraf HQ EPCAF
116 506 PSS 4634 Major Mohammd Ashraf Khan 53 HQ BDE
117 604 PA 5312 Major Mohammad Safdar ISSC
118 496 PA 6067 Major M.M.Ispahani HQ Eastern Cmd.
119 562 PA 6440 Major Mohammad Jamil EPCAF
120 580 PA 7559 Major Mohammad Safi 32 Punjab
121 547 PA 4320 Major Mohd.Azim Qureshi Qures ISSC
122 525 PA 6460 Major Mohd.Zulficar Rathore 13 Engr.BN
123 615 PA 5962 Major Mushtaq Ahmed Det.630 ASC
124 634 PSS 7996 Major Nasira Khan 26 FF
125 632 PA 4748 Major Nasir Ahmed 409 GHQ FIU
126 654 PTC 4632 Major Rana Zahoor Mohyydin Khan 18 Punjab
127 666 PA 8655 Major Rifat Mahmood 31 FD Regt.
128 667 PSS 6148 Major Rustam Ali 314 HQ Bde
129 651 ACO 390 Major R.M.Mumtaz Khan 31 Baluch
130 702 PA 6063 Major Sardar Khan HQ MLA
131 510 ACO 2099 Major Mohammad Azam Khan 12 A.K.
132 686 PRR 3389 Major Saif Ullah Khan ISSC
133 674 PA 6893 Major S.T.Hussain 734 FIC
134 730 PSS 4224 Major S.M.H.S.Bokhari 24 FF
135 689 PSS 8015 Major Sajid Mahmud 32 Punjab
136 723 PA 7415 Major Sher ur Rehman 29 CAV
137 695 PTC 5930 Major Salamat Ali EPCAF
138 690 PA 6858 Major Sajjad Akhtar Malik ISI
139 698 PA 5684 Major Saleem Inayet Khan 57 HQ ML ZB
140 735 PA 7289 Major Sultan Saud EPCAF
141 705 PA 6542 Major Sarfraz uddin ISI
142 720 PA 5080 Major Shaukatullak Khattak 36 Sig.BN
143 737 PA 7428 Major Sultan Surkhro Awan 33 Punjab
144 704 PA 7076 Major Sarfraz Alam EPCAF
145 706 PA 6851 Major Sarwar Khan Tochi Scout
146 756 PA 6272 Major Tafir ul Islam HQ Natore
147 785 PSS 8124 Major Zaumul Maluk 18 Punjab
148 806 PSS 8464 Captain Abdul Waheed 33 FF
149 817 PA 10202 Captan Aftab Ahmed 31 Baluch
150 858 PSS 8836 Captain Arif Hussain Shah ARTY EIZI EMD
151 815 PSS 9634 Captain Abrar Hussain 30 FF
152 853 PSS 9959 Captain Amjad Shabbir Bukhari 31 ED Regt. ARTY
153 876 PA 10129 Captain Ausaf Ahmed 53 Fd; Regt.
154 75089 PA 10185 Captain Abdul Qahar EPCAF
155 869 PA 10985 Captain Ashraf Mirza 12 AK INF BN
156 802 PSS 9904 Captain Abdul rashid Nayyar 19 SIG BN
157 849 PSS 8005 Captain Aman Ullah HQ Natore GR
158 882 PSS 9363 Captain Aziz Ahmed 31 FD Regt.
159 221 PSS 9440 Captain Gulfraz Khan Abbasi 22 FF
160 951 PSS 8144 Captain Ikramul Haq 29 CAV
161 947 PA 10241 Captain Ijaz Ahmed Cheema ISI
162 941 PSS 8867 Captain Iftikhar Ahmed Gondal 31 Punjab
163 964 PSS 8821 Captain Ishaq Parvez 24 FF
164 960 PSS 9614 Captain Iqbal Shah 29 CAV
165 976 PSS 6910 Captain Javed Iqbal 33 Baluch
166 972 PSS 9765 Captain Jahangir Koyani RFT CAMP
167 985 PA 7838 Captain Karam Khan 315 HQ BDE
168 1047 PA 11554 Captain Manzar Amin 25 FF
169 1255 PSS 9387 Captain Muzaffar Hussain Naqvi 18 Punjab
170 1178 PA 11551 Captain Mohammad Sajjad 80 Fd. Regt.
171 1201 PSS 8820 Captain Mohammd zakir Raja (Muhammad Zakar Khan, Arty) ISSC
172 1126 PA 7862 Captain Mohammad Arif 14 HQ DIV
173 1131 PSS 9018 Captain Mohammad Ashraf 12 Punjab
174 1149 PSS 8977 Captain Mohammad Iqbal 12 Punjab
175 1096 PSS 9927 Captain Mohammad Rafi Munir 18 Punjab
176 1159 PSS 10287 Captain Mohammad Jamil 6 Punjab
177 1238 PSS 9077 Captain Naeem Sadiq 409 HQ FIU
178 1351 PSS 9454 Captain Sher Ali 39 Baluch
179 1322 PSS 8093 Captain Salman Mahmood 26 FF
180 1325 PA 11009 Captain Shamshed Sarwar RFN CAMP
181 1343 PSS 7745 Captain Shahid Rehman 29 CAV
182 1321 PSS 10431 Captain Saleh Hussain 18 Punjab
183 1350 PSS 9508 Captain Shaukat Nawaz Khan 6 Punjab
184 1396 PA 7898 Captain Zahid Zaman 53 HQ BDE
185 1505 PSS 11843 Lt. Munir Ahmed Butt 31 Baluch Regt
186 15532 PSS 12191 Lt. Zafar Jang 38 FF
187 641 PSS 6127 Major Nasir Ahmad Khan Sherwani 32 Punjab
188 338 PSS 8534 Major Fayaz Muhammad 29 Baluch
189 487 PA 4992 Major Mian Fakhruddin 91 HQ Inf.Bde
190 924 PSS 8880 Captain Hidayat Ullah Khan 29 Baluch
191 1102 PSS 10828 Captain Md.Siddiqui 27 Sig.Bn
192 993 PSS 10147 Captain Khalil ur rahman COD, Dacca
193 628 PA 6726 Major Nadir Parvaiz Khan 6 Punjab
194 934 PSS 10384 Captain Hassan Idris EPCAF PAKISTAN AIR FORCE
195 65483 P 953 Air Cdre Inam ul hoque Khan PF Dacca
196 65484 PAF 1069 Gr.Cpt. M.A.Majid Baig PF Dacca
197 65483 PAK 5332 Fl.Lt. Khalil Ahmed PAF PAKISTAN NAVY
198 71755 P 138 Rear Adm. Mohammad Shariff
199 71756 PN 108 Cmdre Ikramul Haq Malik Port Trust
200 71757 219 Cmdre Khatib Masud Hussain Base Comd.

Finally, it is stressed that the list only includes the names of the war criminals who surrendered and were taken as Prisoners of War. The list is inherently incomplete since it does not include other principal criminals who were in Bangladesh but left before December defeat.

Disclaimer: The views and opinions expressed in this article or in the comment section are those of the respective authors and do not necessarily reflect the official policy or position of International Crimes Strategy Forum (ICSF).