Bangladesh Recognizes Ten Women
Victims of Abuse by Pakistan Army
Sachi
G. Dastidar
ISPaD: Partition
Documentation Center Report
We offer our pronam – obeisance – to 10 ladies
victimized by the Army of Islamic Republic of Pakistan and their local Bengali-
and Urdu-speaking allies during Bangladesh’s War of Independence. They have
been recognized by the Bangladesh Government as Birangana - Brave Soul –
receiving state support. This is 47 years since atrocity. Indian Subcontinent
Partition Documentation Project (ISPaD) of New York expresses deepest gratitude
to Prime Minister Wazed and her Government. We are saddened that Pakistan
Government hasn’t yet convicted any of the criminals. We also thank the families
and villagers in the North Bengal’s Naoga District for giving moral support to
the victims.
The abused Brave Souls
are: Bani Rani Pal, Khanto Rani Pal, Renu Bala and Sushama Sutradhar who have
already left this world for the Mother in the Heaven. While Maya Rani
Sutradhar, Raash Mani Sutradhar, Sandhya Rani Pal, Kali Dasi Pal, Sandhya Rani
and Gita Rani Pal are barely surviving in poverty and physical hardship.
Below is the article as
it appeared in Daily Bhorer Kagoj, Dhaka, Bangladesh; December 5, 2019.
প্রকাশিত হয়েছে:
ডিসেম্বর ৫,
২০১৯
, ২:০৭ অপরাহ্ণ
মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পেলেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা পালপাড়া গ্রামের ১০ বীরাঙ্গনা। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এক গেজেটের মাধ্যমে তাদের নাম প্রকাশ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সমান সকল সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছে স্বামী, সন্তান ও সম্ভ্রম হারানো এই বীরাঙ্গনারা।
কিন্তু এই মর্যাদা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ৪৭ বছর। ১০ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ৪ বীরাঙ্গনা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়ে বেঁচে আছেন বাকি ৬ জন।
বীরাঙ্গনা বানী রানী পাল, ক্ষান্ত রানী পাল, রেনু বালা ও সুষমা সূত্রধর রোগে আক্রান্ত হয়ে অভাব-অনটনের সংসারে উন্নত চিকিৎসার অভাবে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আর বয়সের ভারে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নানা কষ্টে বেঁচে আছেন মায়া রানী সূত্রধর, রাশমনি সূত্রধর, সন্ধ্যা রানী পাল, কালীদাসী পাল, সন্ধ্যা রানী ও গীতা রানী পাল। একাত্তরের সেই দুর্বিসহ যন্ত্রনা ও সামাজিক বঞ্চনার পাশাপাশি অনেকটা দুঃখ-দুর্দশার অভাব-অনটন আর অসুস্থ্যতার মধ্যেই চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম।
রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর তীরে ছায়ায় ঘেরা শান্ত আতাইকুলা পালপাড়া গ্রাম। ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাক-হানদার বাহিনীর স্থানীয় দোসর রাজাকার ও আলবদরদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত নির্যাতন চালায় এই পালপাড়া গ্রামের সনাতন ধর্মের মানুষদের ওপর। এই সময় গণহত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার ও তাদের দোসররা। সংখ্যালঘু পরিবারের কিশোর, যুবক, মাঝ বয়সী, ও বিভিন্ন বয়সী নারীদেরকে ধরে ওই গ্রামের সুরেস্বর পালের বাড়ির বারান্দায় একত্রিত করে “জয়বাংলা বলতে হ্যায় নৌকামে ভোট দিতে হ্যায়” বলে পাক সেনারা ব্রাশ ফায়ার করে গবীন্দ চরণ পাল, সুরেশ্বর পাল, বিক্ষয় সূত্রধর, নিবারন পালসহ ৫২ জন মুক্তিকামী জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করে। এ সময় পাক হানদার বাহিনী গণহত্যা, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের মতো ধ্বংস লীলা থেকে বিশেষ করে নারীরা স্বামী সন্তানদেরকে প্রাণে বাঁচানোর শেষ আকুতিটুকু করলেও পাক হায়নাদের মন তা গলাতে পারেনি। উল্টো পাক-জান্তারা সুযোগ বুঝে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে নওগাঁ জেলা শহরের উদ্দেশে চলে যায়। নির্যাতিত নারী ও স্বজনদের হৃদয় বিদারক আর্তনাদ ও কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল।
বীরাঙ্গনা কালী দাসী পাল (৭৫) বলেন, ওই দিন সকালে যখন আমাদের গ্রামে পাঞ্জাবী আসে তখন আমরা স্বামীসহ বাড়ির দরজা লাগিয়ে আত্নগোপনের চেষ্টা করি। কিন্তু স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগীতায় গেটের দরজা ভেঙ্গে আমার স্বামীকে টেনে হিঁচড়ে পাঞ্জাবীরা রাইফেল দিয়ে মারতে মারতে যোগেন্দ্রনাথের বারান্দায় ফেলে রাখে। স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইতে গিয়ে আমার কথা না শুনে চোখের সামনে আমার স্বামীসহ ৫২ জনকে হত্যা করে উল্টো আমার ওপরও তারা নানা কায়দায় নির্যাতন চালায়।
তিনি আরও বলেন অভাবের সংসারে এক ছেলে দিন মজুরের কাজ করে। আমি ও পেটের তাগিদে কখনও ধান কুড়িয়ে, বয়লারের চাতালে কাজ করে, কিংবা অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে দু’মুঠো ডাল ভাত খেয়ে কোনো মতো বেঁচে আছি। ভেবেছিলাম বেঁচে থাকতে আর মনে হয় স্বীকৃতি পাবো না। তবে অবশেষে এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি অনেক খুশি। এই সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বীরাঙ্গনা সন্ধ্যা রাণী পাল (৭০) বলেন, ওই দিন সকাল নয়টার দিকে পাঞ্জাবীরা আমার স্বামী বাড়িতে কাজ করা অবস্থায় সুরেশ্বর পালের বাড়িতে ধরে নিয়ে লাইন করে রাখে এই দিকে পাঞ্জাবীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লুটপাট ভাংচুড় ও অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরণের নির্যাতন চালায়। আমি ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে পাশের বাড়ির এক বড় মাটির ডাবরের ভিতর আশ্রয় গ্রহণ করি। বাচ্চার কান্না পাঞ্জাবীরা শুনতে পেয়ে আমাকে সেখান থেকে বের হওয়ার কথা বলে। তখন আমি পালিয়ে মাঠের মধ্যে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাক-বাহিনীরা এই গ্রামের মেয়েদের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করেছে। আমাদেরকে অবশেষে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। স্বামী হারানোর পর থেকে ৪৭টি বছর অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন কাটালাম। তাই স্বীকৃতির পাশাপাশি সকল সুযোগ-সুবিধা যদি দ্রুত আমাদেরকে দেওয়া হতো তাহলে যে কদিন বাঁচি তা ভোগ করে যেতে পারতাম।
রাণীনগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমাইল হোসেন বলেন, অনেক চেষ্টার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার অবশেষে আতাইকুলা গ্রামের ১০ বীরঙ্গনাকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে নাম গেজেটভুক্ত করেছেন। এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির সকল প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই আগামী বিজয় দিবসে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে বলে আমি আশা করছি।
নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও বীরাঙ্গনাদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। অবশেষে আমাদের সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আতাইকুলা পাল পাড়া গ্রামের এই বীরাঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পেয়েছে। এটি আমাদের অনেক বড় একটি সফলতা। আমার খুবই ভালো লাগছে। অবশেষে যে কজন বীরাঙ্গনারা এখনোও বেঁচে আছেন তারা অনন্ত তাদের নায্য প্রাপ্যটুকু একটু হলেও ভোগ করে ও স্বীকৃতির মুকুট মাথায় নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকতে পারবেন।
Google Translation
47-year Waiting Period Ends for 10 Brave Women, Biranganas
Sukumal Kumar Pramanik, Raninagar (Naogaon) Representative:
Posted: Dec 9, 29, 2:40 pm
The freedom fighter received the status of a hero from the village of Ataikula Palpara of Mirat Union of Raninagar upazila of Naogaon. The Ministry of Liberation War recently released their names through a Gazette. The freedom fighters are going to get all the benefits equal to the freedom fighters, losing their husbands, children and honor.
But they have had to wait 3 years to get this status. 4 of them have already left the world. The rest of the 5 are living in the weight of age.
Birangana Bani Rani Pal, Late Rani Pal, Renu Bala and Sushma have left this world due to lack of advanced treatment in the world of shortage of disease. Maya Rani Sutradhar, Rashmoni Sutradhar, Siddhi Rani Pal, Kalidasi Pal, Siddha Rani and Gita Rani Pal are coming to the end of their lives in the weight of age. In addition to the distress and social deprivation of the 1970s, there is a great deal of misery and suffering - the struggles of their lives are going on.
About 8 km south-west of Raninagar Upazila Sadar, a quiet Ataikula Palpara village surrounded by shadow on the banks of the small Jamuna river of Naogaon. On 6 April, with the direct cooperation of local Razakar and al-Badar, the Pak-occupation forces, from 8am to 6pm, they tortured the people of the traditional religion of this village. During this time, massacres, women torture, arson, looting and widespread destruction were carried out by the Pak invaders and their accomplices. Pakistani soldiers opened fire on Gavinda Charan Pal, Sureshwar Pal, Bharatiya Siddhar, Nirvana Pal, and arrested the juveniles, young men, middle-aged, and women of minority families on the porch of the village of Suresh Pal. John freely kills people indiscriminately. During this time, the Pakistani occupation forces, from the destruction of looting and looting and torture of women, especially the women, even though the last of their husbands could save their children, could not swallow their minds. On the contrary, the Pak-juntas, taking advantage of the brutal torture of women, seized the opportunity to go to the city of Naogaon district. The gloomy and weeping tears of the oppressed women and relatives made the sky heavy.
Birangana Kali Dasi Pal (1) said that when Punjabis came to our village that morning, we tried to hide in the house with her husband. But with the help of local razakars, the Punjabis broke the door of the gate and dragged my husband in the porch of Yogendranath to beat him with a rifle. Instead of killing my husband in the eyes of my husband without begging me for begging, he killed 12 people including my husband and vice versa.
He also said that a boy works as a day laborer in the world of scarcity. Me and myself have never survived by raising rice, working in boilers, or working as laborers on another's land, eating rice for two hours. I thought I would not be recognized for living. However, I am very happy to finally receive this recognition. Many thanks to this government.
Birarangana Evening Rani Pal (1) said that at nine o'clock in the morning, the Punjabis took care of my husband while he was working at home and lined up the Punjabis. I take the little boy and shelter in a large clay enclosure next door. The Punjabis heard the baby cry and told me to get out. Then I tried to run away into the field. With the help of local Razakars, the Pak army has treated the girls of this village very badly. Many thanks to Prime Minister Sheikh Hasina for finally recognizing us in Birangana. After losing my husband, I lived for 5 years in shortage. So if all the facilities were given to us quickly besides recognition, I could enjoy the days I live.
Former freedom fighter commander of Raninagar Upazila, Ismail Hossain, said that after many efforts, the government of the Liberation War has finally named the Gazette to recognize the eight heroes of Ataikula village. All processes for obtaining this recognition have already been completed. With the allotted, I hope that the honor will be handed over to the other freedom fighters in the next victory day.
Member of Parliament of Naogaon-1 (Raninagar-Atrai) Md. Israfil Alam said that the present Prime Minister Sheikh Hasina is very sincere about the freedom fighters, martyrs and families. Finally, due to the tireless efforts of all of us, these Biranganas of the village of Ataikula Pal Para have got the status of freedom fighter. This is a great success for us. I feel so good In the end, those who are still alive can enjoy eternal life even though they deserve a little, and can survive in society by taking the crown of recognition.
Send feedback
History
Saved
Community
Google Translation
Send feedback
History
Saved
Community
1 comment:
Great, thanks.
Post a Comment