Fourteen More Minority Hindu Family -- the Entire Village -- Eviction in Bangladesh by the Ruling "pro-secular" Elites, March 2015; and a Case of Rare Return
Prothom Alo Dhaka March 29, 2015
১৪টি হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ
নিজস্ব
প্রতিবেদক,
বরগুনা | আপডেট: ০২:০৩, মার্চ ৩০, ২০১৫ | প্রিন্ট
সংস্করণ
শূন্য ভিটায়
নির্বাক শেফালি রানী। বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রামের শেফালিসহ পাশাপাশি
আরও
কয়েকজনের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করেছে সন্ত্রাসীরা। তাঁরা বাড়িহারা হওয়ার পর পাহারা
দিচ্ছেন দফাদার ও চৌকিদার। গত শনিবার দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলোবরগুনার
তালতলী উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামের ১৪টি হিন্দু পরিবারকে
বসতবাড়ি ও ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যুবলীগের এক নেতা ও তাঁর বড় ভাই
সন্ত্রাসীদের দিয়ে এসব পরিবারকে উচ্ছেদ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী
পরিবারের কর্তাব্যক্তিরা হলেন চন্দনতলা গ্রামের হরেন কান্ত, নিলা রানী
সরকার,
যাদব চন্দ্র
সরকার,
ধীরেন সরকার, মাধব সরকার, সুভাষ চন্দ্র
সরকার,
রমেশ চন্দ্র
সরকার,
বাবুল চন্দ্র
সরকার,
কার্তিক
সরকার,
রিপন সরকার, জিতেন্দ্র
সরকার,
সুমন্ত সরকার, রণজিৎ সরকার
ও শ্যামল সরকার। পেশায় তাঁরা কৃষক ও ক্ষুদ্রব্যবসায়ী। একই স্থানে পাশাপাশি
বসবাসকারী এসব পরিবারের বাড়ির জমিসহ প্রায় ৪০ একর কৃষি জমি রয়েছে।
ভুক্তভোগী
ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৩ সালের শুরুতে সুমন্ত সরকার, রণজিৎ সরকার
ও শ্যামল সরকার ভিটা ছেড়ে বরগুনা শহরে আশ্রয় নেন। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে জিতেন
সরকার ও বাবুল রায়ের পরিবার ভিটাছাড়া হয়। গত ১২ মার্চ গ্রামের অন্য নয়জনের
পরিবারও এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এর মধ্যে সাতটি পরিবার বরগুনা শহরে ও দুটি পরিবার
তালতলীর ছোটবগি আবাসন প্রকল্পে আশ্রয় নিয়েছে। ১৩ মার্চ নয়টি পরিবারের ঘরদোর
গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল ও গাছপালা লুট করা হয়। ২৩ মার্চ এ ঘটনায় যাদব চন্দ্র সরকার
আবদুর রশিদ আকনকে প্রধান আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে তালতলী থানায় একটি মামলা
করেন। ওই দিনই রশিদ আকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
কয়েকজন
প্রত্যক্ষদর্শী জানান,
১২ মার্চ
রাতে নয়টি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার পর ১৩ মার্চ সকালে আবদুর রশিদ, যুবলীগের
নেতা জাকির হোসেন সরদার ও তাঁর ভাই আবদুস সালাম সরদারের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি
সন্ত্রাসী দল পরিবারগুলোর বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেয় এবং সব মালামাল লুট করে।
সন্ত্রাসীরা বাড়ির বড় বড় গাছও কেটে নিয়ে যায়।
শনিবার
সরেজমিনে দেখা গেছে,
পাশাপাশি
বসবাসকারী ১৪টি হিন্দু পরিবারের বসতভিটা শূন্য পড়ে আছে। শূন্য ভিটার ওপর মাটির
তৈজসপত্র,
রান্নার চুলা
ও কিছু মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
ভুক্তভোগী
শেফালী রানী (৫০) বলেন,
‘ওরা আমাগো
সব কাইড়্যা নিয়া নিঃস্ব করছে। এহন খালি মোগো জীবনটা ছাড়া কিছু নাই। এমন জীবন
দিয়া আমরা কি করমু।’
স্থানীয়
লোকজনের অভিযোগ বরগুনা জেলা যুবলীগের সহসভাপতি পরিচয়দানকারী জাকির হোসেন ও
আবদুস সালাম এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আবদুর রশিদ ও তার বাহিনীকে নিয়ে দীর্ঘদিন
ধরে এসব হিন্দু পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন।
জানতে চাইলে
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান মহারাজ প্রথম আলোকে বলেন, জাকির হোসেন
আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও জেলা যুবলীগের কমিটির কেউ নন। পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পাটোয়ারি বলেন, ‘জাকির সরদার
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন সন্ত্রাসী। জেলা আওয়ামী লীগের
প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। ওই নেতাদের সম্মানার্থেই জাকিরকে
সংগঠনের সদস্য পদ দিয়েছিলাম।’
ইউনিয়ন
পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘পুরো
বিষয়টিতে আমরা মর্মাহত।’
অভিযোগের
বিষয়ে জানতে জাকির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের মূল দরজা তালাবদ্ধ। আবদুস সালামের
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,
সুসজ্জিত
দোতলা পাকা বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুঁলছে। প্রতিবেশীরা জানান, ২৩ মার্চের
পর থেকে তাঁরা ঘরে তালা লাগিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। মুঠোফোনে জাকির হোসেন
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আবদুর রশিদের কোনো দোষ নাই। কারণ, হিন্দুরা নিজেরাই ঘরবাড়ি বিক্রি করে
অন্যত্র চলে গেছে।’
পুলিশ সুপার
(এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার মূল হোতাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা
পেয়েছি। এর পেছনে আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, হিন্দু
পরিবারগুলোকে তাদের নিজ ভিটায় ফেরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দোষীদের
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Prothom Alo April 1, 2015
বসতবাড়িতে ফিরল ১৪ হিন্দু পরিবার
নিজস্ব
প্রতিবেদক,
বরগুনা | আপডেট: ০৩:১২, এপ্রিল ০১, ২০১৫ | প্রিন্ট
সংস্করণ
বরগুনার তালতলী উপজেলার চন্দনতলা গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হওয়া ১৪টি হিন্দু
পরিবার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় গতকাল মঙ্গলবার নিজ নিজ বসতবাড়িতে ফিরেছে।
এর আগে
সন্ত্রাসীরা যেসব ঘর ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল, সেসব ঘরের
কাঠামোর কিছু অংশ উদ্ধার করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
একই সঙ্গে প্রতিটি পরিবারকে ছয় হাজার টাকা, দুই বান্ডিল ঢেউটিন ও ১৫ দিনের
খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। এসব পরিবারের নিরাপত্তার জন্য সেখানে একটি অস্থায়ী
পুলিশ চৌকিও করা হয়েছে।
গতকাল সকাল
১০টার দিকে জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম উচ্ছেদ হওয়া
হিন্দু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বরগুনা থেকে চন্দনতলা গ্রামে তাঁদের আবাসস্থলে
যান। এসব পরিবারকে নিজেদের ঘরে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় এসব পরিবারের সদস্যরা
কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁদের সান্ত্বনা ও
নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। পরে সেখানে একটি মতবিনিময় সভা হয়। পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন
পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন
জেলা প্রশাসক,
পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের
প্রশাসক জাহাঙ্গীর কবির,
অতিরিক্ত
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, ইউএনও কাজী
তোফায়েল আহম্মেদ,
থানার ওসি
বাবুল আকতার প্রমুখ।
ভুক্তভোগী
যাদব চন্দ্র সরকার সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমরা
বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে যেতে চাই না। আমরা নিরাপত্তা চাই। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
জেলা প্রশাসক বলেন,
‘আমরা সব সময়
আপনাদের পাশে আছি। আপনারা মনোবল হারাবেন না।’ পুলিশ সুপার বলেন, ‘এসব পরিবারকে
উচ্ছেদের পেছনে যেসব অপশক্তি আছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশ
না করার শর্তে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন বলেন, ১৪টি হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদের নেপথ্যে
রয়েছেন যুবলীগ নেতা জাকির সরদার ও তাঁর বড় ভাই সালাম সরদার। তাঁরা সন্ত্রাসী
রশিদ আকনকে দিয়ে এসব করিয়েছেন।
জাকির সরদার
ও তাঁর বড় ভাই সালাম সরদার ১৪ হিন্দু পরিবারের বসতভিটাসহ ৪০ একর জমি দখল করার
জন্য রশিদ আকনকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারগুলোর সদস্যদের ওপর শারীরিক, মানসিক
নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ২০১৩ সালে তিনটি ও ২০১৪ সালের শেষ দিকে দুটি
পরিবার বাড়ি ছেড়ে বরগুনায় আশ্রয় নেয়। গত ১২ মার্চ রাতে আরও নয়টি পরিবার
বাড়িঘর ছেড়ে বরগুনায় চলে আসে। ১৩ মার্চ জাকির, সালাম ও রশিদ আকনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা
এসব পরিবারের বাড়িঘর ভেঙে লুটপাট করে।
এ নিয়ে ৩০
মার্চ প্রথম আলোয় ‘১৪টি হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ’ ও ৩১ মার্চ ‘১৪টি হিন্দু
পরিবারকে ঘর তুলে দিচ্ছে প্রশাসন’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়।
12:00 AM, April 04, 2015 / LAST MODIFIED: 01:03 AM, April 04, 2015
STRAIGHT LINE
A
shameful reality
A disturbing media report tells us about the plight of at least 14 Hindu families that
have been evicted by land grabbers allegedly at the behest of influential quarters
in Barguna District. Reportedly, the first three of these 14 families
left their homes following threats and intimidation from powerful groups in
2013 and the next two families in 2014; and the compounding tragedy is that on
March 12, 2015, the rest of the families were also driven off their homestead
land.
What is most disturbing is that the affected minority families were
threatened and evicted over a protracted period without allegedly any action
against the perpetrators. Quite clearly, criminal actions like destroying and
looting of property after the terrified minority families left their homes have
not been punished. Under the circumstances, one might ask if psychological
harassment and material deprivation of minority Hindu population in some parts
of the country shall continue to be a dangerously recurrent reality.
Attacks on Hindus and their
property have demonstrated the immensely sad but blunt reality that even after
forty two years of democratic pluralistic existence, the religious minority of
Bangladesh have not been able to save themselves from the deadly embrace of
communal mischief. In fact, when the battered Hindu citizens proposed
to disenfranchise the entire community by publicly asking to strike Hindus off the voters' list so
that they can escape the wrath of politically motivated obscurantist elements,
one could gauge the depth and severity of the wound.
Upon scrutiny of the ground situation one might say that it is time to
find out why the number of Hindus has decreased over the years, particularly since the creation of People's
Republic of Bangladesh in 1971? Has the mindset of the majority community
really changed for establishing the ethos of an equal rights society?
We in Bangladesh need to ask whether it is religion per se or the politicization
of religious identity and the mobilization of this identity for community and
state ends that have resulted in communal violence. We also need to find out
whether the emphasis is on contests for power and resources.
Coming to specifics, in Bangladesh,
why do we witness attacks on Hindu properties? Is creation of
hatred a ploy for some of the majority Muslim politicians and influential
people to grab Hindu property? The torching of Hindu houses over a petty
altercation in the recent past quite clearly indicated the malafide intention
of terrorizing and dislocating the vulnerable minority. Simple common sense
should tell that the ferocity of attack on Hindus is caused by the victims'
weakness and the perpetrators' suspected immunity from the process of law. Are
the patrons of the mischief-makers too powerful to be dislodged?
The immediate imperative, under the circumstances, is to effectively
deactivate the vultures that are on the watch to grab the lands and properties
of panicked Hindus. This requires political will and stern administrative
measures for ensuring continued security. However, beyond that, the minorities
need to politically organise themselves in such a manner that in the course of
time, issues of their honorable existence become a focus of mainstream
politics. Such course of action is expected to provide substantial relief.
The politicians cannot be part of a deliberate effort to realign state
and cultural power in the interest of the majority because that will result in
non-Muslim minorities being defined explicitly or implicitly as second class
citizens of Bangladesh. The progress of a nation demands proactive action from
the state to ensure the security and rights of all citizens.
The writer is a columnist of The Daily Star.